একঃ
জবা চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিলো। চিঠি পড়ে তার চোখ ভিজে গেছে। গলাটাও কেমন ধরে আসছিল!
-কবে আইছে চিঠি? আরিফকে চিঠিটা ফেরত দিতে দিতে জবা জানতে চাইল।
সে আরিফের দূর সম্পর্কের বোন!
-আজই আইছে। নরেন চাচা কাল আমার নানার গ্রামে ফেরি করতে যাইয়া মার দেখা পাইছিল। তখনই মা দিয়া দিছে। চিঠির সাথে একটা গেঞ্জিও দিছে। মা হাতে বুনছে। তোমারে দেখামুনি। আরিফ জবাব দিল।
গত অক্টোবরে আরিফের নয় বছর পূর্ণ হয়েছে! বয়সে জবার চেয়ে সে বছর পাঁচেকের ছোট। বুবু বলে ডাকলেও জবা তার সবচে কাছের বন্ধু।
-আমি মার সাথে দেখা করতে যামুনা বুবু
-কেন রে পাগলা? জবা জানতে চাইলো
-আমার কিছু ভালা লাগেনা !
জবা মুখে কিছু বলেনা। সে আরিফের মাথার চুলে আঙ্গুল চালিয়ে ভরসা দেবার চেষ্টা করে, “আমিতো আছি”।
ঘাটে বাঁধা একটা নৌকায় বসে বসে ওরা এতক্ষণ কথা বলছিল। আরিফ ওঠে দাঁড়াল। তারপর একটা ভ্যাকেন্ট লুক দিয়ে সে বাড়ির পথে হাঁটা ধরল। কিন্তু কি জানি কী মনে করে সে আবার ফিরে এলো।
-তুই বয় আমি আইতাছি। যাবিনা কিন্তু কইলাম
-আচ্ছা বুবু; তাড়াতাড়ি আইসো। আরিফ জবাব দিল।
আগামিকাল আরিফের মায়ের বিয়ে। দুই সপ্তাহ আগে ওর নানী এসে মেয়েকে নিয়ে গেছে; দ্বিতীয়বার বিয়ে দেবে। জবা চাইছে এই অবস্থায় যতোটা সম্ভব আরিফকে স্বাভাবিক রাখতে।
পনের বিশ মিনিট পর জবা ফিরে এলো।
-তোর জন্য একটা জিনিস আনছি
-কী আনছ বুবু?
-চল পাড়ে গিয়া বসি। ওইখানে দেখামু।
জবা গুড় আর কাঁচা মরিচ মেখে কাঁচা আম ভর্তা করে এনেছে। কাগজের মুঠ থেকে বের করে এক টুকরা আরিফের মুখে দিয়ে বললো,
-নে, সবটুকু খা
-বুবু, তুমি খাবানা? তোমার তো খুব পছন্দ
-পরে আবার বানামু। এখন তুই খা।
এরপর একটা লাড্ডু হাতে দিয়ে জবা বলে,
-এটাও খা
-সব খালি আমারেই দিতাছ?
জবা উত্তর দেয়না। দক্ষিণ দিকে একমনে তাকিয়ে থাকে। একজন লোক আসছে।
-এই পাগলা, দেখ দেখ নরেন চাচা আইতাছে।
বানিজ্য শেষ করে নরেন ফেরিওয়ালা তখন ঘরে ফিরছিল। কাছে এসে সে তার হাঁটার গতি কমিয়ে দিলো।
-আরিফ বাবাজি, মাকে দেখতে যাবানা? সে আমারে খুব অনুনয় কইরা কইছে যেন তোমারে যাইতে বলি। সে তোমার কেবল মা না গো বাবাজি, মন্দিরও! মন্দির ভাঙ্গলে আসমানও ভাইঙ্গা পড়ে ! নরেন ফেরিওয়ানা এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে চলে যায়।
প্রতিউত্তরে আরিফ কিছু বলেনা। সে আম ভর্তা খেতে খেতে ফেরিওয়ালা চাচার চলে যাওয়া দেখে।
-চল কাল তোর মার কাছে যাই। আরিফের মাথায় টোকা দিয়ে জবা বলে
-তুমি আমার সাথে যাইবা বুবু?
-হ্যাঁ। সকালে সকালে রওনা দিতে অইব। বেলা থাকতে ফিরা আসা লাগবে।
-কালই তো নানী বাড়ি থেইকা আমার মা চইলা যাইবে, তাইনা বুবু?
জবা নিরুত্তর থাকে। আরিফের ভিতর যে ভাংচুর হচ্ছে্ তা কান পেতে শুনে। আরিফের যখন সাড়ে ছয় বছর বয়স তখন ওর বাবার মৃত্যু হয়। সেই সময় সে বাবাকে অতোটা অনুভব করেনি। কিন্তু বছর দেড়েক পর থেকে তার অসহনীয় কষ্ট হতে থাকে! তখন সে ভাবতো, নদির গভীর থেকে জাহাজে করে একদিন হঠাৎ তার বাবা ভেসে ওঠবেন।
আজ মায়ের জন্যও আরিফের একই রকম কষ্ট হচ্ছে। একই রকম অলৌকিক কিছু মায়ের প্রত্যাবর্তনের জন্য সে কামনা করছে।
-বুবু তোমার কাছে টাকা আছে?
-মায়ের জন্য কিছু কিনবি?
-হ্যাঁ
-দাঁড়া। এখনি নিয়া আসতাছি
মিনিট দশেক পর জবা চল্লিশ টাকা এনে আরিফের হাতে দিল।
-তোমার সব টাকা দিয়া দিলা?
-হ্যাঁ
-কেন বুবু?
-আজ থেইকা ৮-১০ বছর পর হইলে কইতাম, কেন দিলাম?
-এখনই কও
-নারে পাগলা, এখন কইলে তোর ভালা লাগবেনা। সময়েরটা অসময়ে তিতা লাগতে পারে।
-কি কও তুমি? বুঝিনা
-পুঘল দীঘা বিল থেইকা ফিরার সময় বট গাছের নিচে যখন বইসা ছিলাম তখনও তুই বুঝছ নাই। তোর নানী তোর মায়েরে কেন বিয়া দিতাছে হেইডাও তুই বুঝছনাই! না বুঝার মধ্যে একটা “ভালা” লুকাইয়া থাকে। আমারে যখন বিয়া দিছিল হেইডা আমি তখন বুঝিনাই। স্বামীর বাড়ি যাইয়া সব বুঝবার পর থেইকা আমার খালি খারাপই হইছে!
জবার শেষ কথাটায় আরিফের মন আরও ভার হলো।
দুইঃ
পরদিন সকালে জবাকে সঙ্গে নিয়ে আরিফ তার মাকে দেখতে রওনা হয়। বেশ দূরের পথ।
ধান ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটার সময় মাঝে মধ্যে আরিফের পা পিছলে যাচ্ছিল। ভীষণ গরম; গা জ্বলছিল। আইলপথ শেষে একটা বাড়িতে টিউবওয়েল দেখে ওরা থামে। প্রথমে জবা টিউবওয়েল চাপল আরিফ জল খেল; পরে জবা খেল। জল খাওয়া শেষে ওদের চলে যাওয়া দেখে মধ্যবয়সী এক মহিলা বাড়ির ভিতর থেকে বের হয়ে এলো। দুজনের হাতে দুমুঠো চাল ভাজি দিলো।
-তোমরা কোন গাওয়ের ছাওয়াল গো?
জবা মহিলার প্রশ্নের উত্তর দেয়। এরপর কথায় কথায় আরিফের প্রসঙ্গ ওঠে। মহিলা আরিফকে জড়িয়ে ধরে বলে, “ফেরার সময় আমার এইখানে আবার আইসো। আমি কিন্তু আশায় থাকমু বাপজান”।
আবার ওরা হাটা ধরে। এবার বেশ দীর্ঘ খোলা মেঠো পথ। খুব বেশি লোকের চলাচল নাই। মাঝে মধ্যে দু একজন সাইকেলের বেল বাজিয়ে পাশ কেটে চলে যাচ্ছে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পথে বড় একটা বট গাছের দেখা মিললো। পূঘল দীঘা বিলে সেই বট গাছটার কথা জবার মনে পড়লো। আশেপাশে কোথাও কেউ নাই। দূরে মরীচিকাগুলি যেন নদি হয়ে আছে। মিছা নদি। আরিফের মাতৃস্নেহ পাবার আশার মত। জবার স্বপ্নের মত।
-গাছতলায় একটু জিরাইবি আরিফ?
-হ্যাঁ বুবু
বেশ শীতল বটছায়া। মিষ্টি বাতাস বইছিল। ঘন ঘাস দেখে ওরা এক জায়গায় বসে।
-আর একটু কাছে আয়; পিঠে হাত বুলাইয়া দেই।
আরিফ জবার গা ঘেষে বসে। ওড়না দিয়ে ওর মুখ মুছে দিয়ে সে আরিফের পিঠে হাত বুলাতে থাকে।
-বুবু
-বল
-আমার জন্য মার কী খুব কষ্ট হইতাছে?
জবা উত্তর দেয়না। সে আরিফের পিঠে মুখ রেখে দুহাতে জড়িয়ে ধরে। তার চোখ গড়িয়ে জলে আরিফের পিঠ ভিজে যাচ্ছে। জবা নিজের ভিতর আরিফের জন্য দুটি সত্ত্বার অস্তিত্ব টের পায়। একটা আরিফ বুঝে; দ্বিতীয়টা কেবল সে একাই ।
কিছুক্ষণ পর সামনে দিয়ে একটা ঠেলা গাড়ি যায়। এক বৃদ্ধ ঠেলছিল। বয়স খুব বেশি না হলেও জবা জীবনের অনেক কিছুই বুঝে। ছয় মাসের বিবাহিত জীবনটা আসলে তার জন্য একটা ট্রেনিং ছিল। কানা মানুষের জীবন পড়ার ট্রেনিং। জবা চোখ বন্ধ করে দেখে, একটা ঠেলা গাড়ি আসলে একটা জীবনের সমার্থকঃ তার, আরিফের, আরিফের মার, বৃদ্ধটার; সবার জীবনের। ইচ্ছে না থাকলেও ঠেলতে হয়। নইলে চলেনা।
ওরা বটছায়া থেকে ওঠে দাঁড়ায়। হাতে সময় নাই। আরও বেশ কিছু পথ যেতে হবে। আরিফের একটা হাত জবা মুঠোয় ভরে নিয়েছে। হাঁটতে হাঁটতে একসময় ওরা পথটার মাথায় যায়। একটা নদিতে গিয়ে ঠেকেছে। দুখাই নদি। ওটা পার হয়ে ওরা ঝাওতলি গ্রামে মল্লিক বাড়িতে যায়। আরিফের নানা বাড়ি।
তিনঃ
তখন দুপুর বেলা। বরপক্ষ চলে এসেছে। তারা চটজলদি বিয়ে সম্পন্ন করে চলে যেতে চায়। নদিপথে বহুদূর যেতে হবে। অন্ধকার হলে পথে জলদস্যুর ভয় আছে। বিয়ের যাত্রী তাই ভয় আরও বেশি!
জবা আরিফকে হাত ধরে টেনে ওর মায়ের সামনে নিয়ে যায়। লাল শাড়ি পরে বসে আছে! অল্প দূরে দাঁড়িয়ে আরিফ ওর মাকে দেখে। কী যে সুন্দর লাগছে লাল শাড়িতে!
সম্মুখে দন্ডায়মান ছেলেকে আরিফের মা খেয়াল করেনি। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ যখন সে ছেলেকে দেখতে পায় তার ভিতর সুনামি শুরু হয়। সে ওঠে আরিফের কাছে যেতে চাইলে এক মুরুব্বি মহিলা তাকে কাঁধে চাপ দিয়ে বসিয়ে দেয়। কারণ কাজি সাহেব এসে গেছে! এখনই বিয়ে হবে।
আরিফের দিকে ওর মা অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকে! কতক্ষণ তাকিয়ে ছিল সে বুঝতে পারেনি। ওদিকে একজন বারবার তাড়া দিতে থাকে, “বল, কবুল”!
আরিফের দিকে তাকিয়ে থেকে বেখেয়ালীভাবে সে কবুল বলে।
চারঃ
সবকিছু দ্রুততার সাথে করা হচ্ছিল। সবার খাওয়া শেষ! বিদায়ের পালা। আরিফকে জবা ওর মায়ের কছে ঠেলে দেয়। মাকে জড়িয়ে ধরে তার কাঁদতে ইচ্ছে করে; কিন্তু পারেনা। পাছে নতুন বর রাগ করে। সে নিশ্চিত নয়, আপন মার প্রতি তার অধিকার আজ দুপুরের পর থেকে কতোটা আছে!
বিদায় পর্বও শেষ। লাল রঙের শাড়ি পরে আরিফের মা বরের হাত ধরে নৌকায় ওঠে। গলুইয়ের কাছে দাঁড়ায়ে সে ছেলেকে ডাকে। কাছে গিয়ে আরিফ মাথা নিচু করে থাকে। মাঝি নৌকা ছেড়ে দিচ্ছে। তবুও সে কোন কথা বলেনা।
-আমারে মাফ কইরা দিস বাবা। আরিফের মা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।
আরিফ একটা বক্স ওর মায়ের হাতে দেয়।
-এটা কি বাপ?
আরিফ তার অতি প্রয়োজনীয় কথাটাই কেবল বলে,
-প্রেসারের ওষুধ খাইতে ভুইলোনা।
নৌকা ছেড়ে দেয়। বড় একটা ঢেউ পাড়ে এসে আছড়ে পড়ে। তাতে নদী ভাঙ্গেনা; একজন আরিফ ভাঙ্গে কেবল!
—————————
ছোটগল্পঃ লালরঙা শাড়ি (এক) এর লিংক নিচে :
ছোটগল্পঃ লালরঙা শাড়ি …
loading...
loading...
প্রথমের পর দ্বিতীয় অংশ মানে আগস্ট ১৩, ২০১৮ এর পরও বটে।
আরিফ-জবা'র গল্প পড়লাম। দূর সম্পর্কীয় ভাই বোন। ঘটনা এমন ভাবে এগিয়েছে যেন পাঠককে আষ্টেপৃষ্ঠে সাথে রাখবার জন্যই গড়া হয়েছে। জবা নামের তুলনায় আরিফ নামটি একটু আধুনিক লাগলো। জবা'র মমতামাখা অনুভূতির প্রকাশ অসাধারণ ফুটেছে। শেষ পঙক্তি … নৌকা ছেড়ে দেয়। বড় একটা ঢেউ পাড়ে এসে আছড়ে পড়ে। তাতে নদী ভাঙ্গেনা; একজন আরিফও ভাঙ্গে!
(এখানে আরিফের কচিমুখ ভাসে না, বড়সরো কোন আরিফ মনে হয়)
অনেক অনেক শুভেচ্ছা মি.মিড ডে ডেজারট। আমাদের জীবনটাই গল্পের মতো।
loading...
প্রথম পর্ব লিখার সময় কিছু সুনির্দিষ্ট শিশু-সাইকোলজি মাথায় রেখেছিলাম। এই পর্বটা সেটারই ধারাবাহিকতা। যদিও দুটো পর্বকে সেলফকন্টেইন্ড করার একটা প্রয়াস রয়েছে।
শিশু সাইকোলজি নিয়ে একটু বলি। বৈচিত্র এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে তারা যে বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়া দেখায় (যা মোটেই রেয়ার নয়) সেটা দুটো পর্বেই দেখাতে চেষ্টা করেছি। সাড়ে ৬ বছর বয়সে পিতার মৃত্যুতে আরিফ অনুভূতিহীন থাকে বটে কিন্তু তা চূড়ান্তভাবে নয়/সাময়িক। কারণ দেড় বছর পর থেকে “পিতার শূন্যতাবোধ” তার মনোজগতে বিশাল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এইসব বিষয় শিশু আরিফের ব্যাক্তিত্বে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে বিশ্ববিখ্যাত থিয়োরিগুলি তার ধারণা দেয়। নিজ বাড়ি থেকে মায়ের চলে যাওয়া (প্রথম পর্বে) এবং নানা বাড়ি থেকে মায়ের নতুন জীবনে পদার্পণে (এই পর্বে) আরিফের অতীব প্রতিক্রিয়াহীন থাকা তাকে একটা বয়সী মানুষের লুক দিয়েছে সত্য। কিন্তু বিস্ময়কর এই শিশু সাইকোলজির যে শতমুখি রুপ আছে আমি তার কেবল একটা হিসেবে দেখি (বয়সী লুক)। বাকি ৯৯টা হয়তো অধিকতর বিস্ময়কর লাগবে যদি খুঁজে বের করতে পারি।
বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যে যারপর নাই খুশি হয়েছি মুরুব্বী। কমপ্লিমেন্টগুলিতে মন ভরে গেল। এমন দামি মন্তব্যে যে কেউ খুশি হবে; আমিও ভীষণ !
অশেষ ধন্যবাদ!
loading...
font-size:10.0pt মন্তব্যের ঘরে আপনার মন্তব্য ফন্ট খুব ছোট দেখাচ্ছে। আপনি কি ফন্ট সাইজ ছোট করেছেন !! এমন কিছু যদি ঘটে থাকে তাহলে বক্সের টাইটেল সারিতে Size এ গিয়ে বাড়িয়ে নিন।
সুন্দর প্রতি-মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
জবাকে আমার ভীষণ ভাল লেগেছে মিড দা। এরপর আরও খণ্ড কি রয়েছে ?
loading...
প্রথম পর্ব লিখার সময় অথবা তারপর বহুদিন পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব লিখার পরিকল্পনা ছিলনা। কিন্তু গতকাল হঠাতই ঘটে গেল।
এইভাবে যদি পরের পর্ব হয়; নচেৎ নয়!
মন্তব্যে মুগ্ধ হয়েছি! অশেষ ধন্যবাদ দিদি!
loading...
চাইবো লেখাটি কন্টিনিউ হোক।
loading...
খুব কম লিখলেও যে লিখাই আপনি উপহার দেন না কেন আমার দৃষ্টিতে বাকি সময়ের পূরণ (ক্ষতিপূরণ) আপনি ঠিকই করে দেন ডেজারট ভাই। অসম্ভব সরল গল্প গাঁথা। ভাই বোন মা চিত্রায়ণ অসাধারণ।
loading...
আহা, কী মূল্যবান কমপ্লিমেন্ট ! মন জুড়ায়ে গেল কবি!
পকেট ভরে আনন্দ নিলাম সুকবি!
অশেষ ধন্যবাদ!
loading...
অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম ডেজারট ভাই।
loading...
পড়তে গিয়ে যেটা বেশী বুঝলাম সেটা হচ্ছে লাইন গুলো থেকে চোখ সরাতে পারি নি। ভালো লিখেছেন মিড ভাই।
loading...
একেবারে অন্তর থেকে তুলে আনা মন্তব্য। মন জুড়ায়ে গেল সুমন আহমেদ!
অশেষ ধন্যবাদ!
loading...
পরিচ্ছন্ন মমতামাখা আমাদের গ্রামীন জীবনের গল্প।
loading...
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম সুকবি!
অশেষ ধন্যবাদ!
loading...
গল্পটিকে নিছক কোন গল্প বলা যায়না। আমি সাহিত্য সমালোচনায় কাঁচা হলেও সাহিত্যমান অন্তত বুঝি । যে গল্প পাঠকের অন্তর বিদীর্ণ করে নিজের ঠাঁই করে নেয় তাই তো সাহিত্য।
জীবন থেকে নেয়া গল্প কিংবা কবিতা জীবনকেই এঁকে যায় ,যার রেশ থেকে যায় যুগ যুগ ধরে পাঠকের মনে । শব্দের পরিমিতিবোধ , উপমা অলংকারের বাহুল্যহীনতা সার্থক ছোটগল্পের মাঝেই দেখা যায় ।
গ্রামীণ জীবনকে এতোটা জীবন্ত করে উপস্থাপন অপুর পাঁচালীতেও দৃষ্ট হয়নি। আরিফের সুপ্ত কান্না আজীবন হয়তো চোখ ভিজিয়ে যাবে। গল্পটা থেকে যাবে জীবন হয়ে।
সুন্দর উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ।
loading...
মুগ্ধতা নিয়ে মন্তব্যটা পড়লাম। কী দারুণ বিশ্লেষণ এবং লেখার স্বীকৃতি।
পাঠ্য বইয়ের বাইরে সাহিত্য পড়ার অভ্যাস খুব অল্প ছিল। দুই বাংলার নামিদামি সাহিত্যিকদের খুব কম বইই পড়েছি। ইদানিং ফেবুতে গল্প কবিতা পড়ি। ইলেভেন/টুয়েল্ভ ক্লাসে পড়ার সময় সত্যজিৎ রায়ের বেশ কটি সিনেমা দেখেছি। “অপুর সংসার”টা ঠিক মনে নাই; অথবা পুরো দেখিনাই। “অপুর পাঁচালী” পড়া হয়নি। কিন্তু বুঝতে পারছি "অপুর সংসার"র মতই অসাধারণ সৃষ্টি ওটা।
“অপুর পাঁচালী”কে মাথায় রেখে আমার গল্পটার আলোচনা করায় লজ্জিত হয়েছি বটে; কিন্তু পকেট ভরে আনন্দ নিয়েছি ! বোকার মত গর্বিত হলাম
এবং ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম।
অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালাম সুকবি!
loading...
অদ্ভুত সুন্দর এক গ্রামীণ জীবনের একটি গল্প পড়ছিলাম এতক্ষণ।ছবির মত দৃশ্য গুলো এক এক করে চোখের সামনে ভাসছে। আরিফের মায়ের চলে যাওয়া…. আরিফের বুক ভরা কষ্ট পাঠক কুলের মনকেও স্পর্শ করে গেছে।ছোট গল্পের স্বার্থকতা এখানেই। জাষ্ট মুগ্ধ আমি।শুভ কামনা।
loading...